হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর শুভ জন্মের মুহূর্তে ধাত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ফাতিমা বিনতে আব্দুল্লাহ বলেন, সেই পূণ্যময় মুহূর্তে সমগ্র ঘর আলোয় ভরে যায়।
- হজরত আব্দুল মোত্তালিব কাবা ঘর প্রাঙ্গণ থেকে লক্ষ্য করলেন, তার বাড়ির মধ্য থেকে একখানা আলোর জ্যোতি প্রকাশিত হয়ে কাবাঘর ও তৎসংলগ্ন পর্বতসমূহ আলোকিত করে ফেলেছে। এ দৃশ্য দেখে তিনি বিস্মিত হন।
- ‘নুরে মোহাম্মদী’ নামক কিতাবে বর্ণিত হয়েছে, “ঐ রাতে কুরাইশদের একটি মূর্তির মুখ দিয়ে কথা বের হয়েছিল। সে বলেছিল, একটি পবিত্র সন্তান প্রকাশ হওয়ায় চাদর পরিধান করেছি। এর জ্যোতিতে পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিমের সমস্ত এলাকা আলোকিত হয়ে গিয়েছে।
- কাবা ঘরের সকল মূর্তি উপুর হয়ে পড়ে গিয়েছিল।
- আর তার ভয়ে প্রকম্পিত হয়ে আরবের সকল রাজা বাদশাহদের প্রাণ কেঁপে উঠেছে।
- হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর শুভজন্মের সময় পারস্যে প্রচন্ড ভূমিকম্প সংঘটিত হয়ে নওশেরাওয়া বাদশাহর সিংহাসন কেঁপে উঠে, রাজ প্রাসাদেও চূড়া ভূমিতে ধ্বসে পড়ে।
- পারস্যের রাজধানীতে শতাব্দীকাল হতে চলে আসা জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড নিভে যায়।
- সিলওয়া উপসাগর শুকিয়ে যায়। এক প্রান্তরে নতুন একটি নদী প্রবাহিত হয়।